Ads

গরমে যে যে খাবার খাওয়া উচিত

আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা গরমের খাবার সম্পর্কে সচেতন নন। তেমনই একজন হচ্ছেন মমিন সাহেব। চলুন আজ আমরা মমিন সাহেব ও তার প্রতিবেশী বকর ভাইয়ের কিছু কথোপকথন দেখি-   “বকর ভাই, এই পেটের যন্ত্রণায় তো আর পারা গেলো না” ব্যথায় কঁকিয়ে উঠে বললেন মমিন সাহেব।   – কেন কি হল আবার? – আর বলবেন না ভাই, এই গরমকাল এলেই যেন কি হয়। পুরা সিজনটা পেট খারাপ থাকে! একটূ কিছু খাওয়া যায় না শান্তিমত! – বুঝতে পেরেছি, আপনার পাকস্থলী দুর্বল, ভারী খাবার সহ্য করতে পারেনা! – হয়ত! কি করব বলেন দেখি বকর ভাই! – আপনার খাওয়া দাওয়ার অভ্যাসটা ঠিক করতে হবে। গরমে কিছু খাবার আছে যা খেলেই পেট, শরীর দুটোই ঠান্ডা থাকে!   – কি কি খাবার ভাই? একটু বলেন আমাকে! সহকর্মী মমিন সাহেবের জিজ্ঞাসায় দুটো গরমের খাবার এর রেসিপি দিলেন বকর সাহেব। কি সেই দুটো রেসিপি যা খেলেই গরমে সুস্থ থাকা যায়? পড়ে নিন-   গরমের খাবার   দই চিড়া    এই গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে একটু প্রশান্তি পাওয়ার জন্য গরমের খাবার হিসেবে দই চিড়ার কোন জুড়ি নেই। এছাড়া বিভিন্ন ধরণের পেটের পীড়ার জন্যও স্বস্তিদায়ক খাবার দই চিড়া। রেসিপির ভিন্নতায় সামান্য দই চিড়াও দিতে পারে পারে অসামান্য স্বাদ, গরমে দিতে পারে স্বস্তি। কিন্তু কিভাবে এই দই-চিড়া বানাতে পারবেন? বানানোর প্রক্রিয়া বা রেসিপিটা একদম সহজ। বাসাতেই যেকোন সময়ে নাস্তা হিসেবে বানাতে পারেন এই দই চিড়া। জেনে নিন এই দই চিড়া বানানোর প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো।   উপকরণ :   টক বা মিষ্টি দইঃ ২ কাপ (পছন্দমত) লাল চিড়াঃ ১ কাপ কলাঃ ২টি লাল চিনিঃ ১ টেবিল চামচ লেবুর রসঃ ১ টেবিল চামচ লবণঃ পরিমাণমতো  প্রস্তুত প্রণালী :   লাল চিড়া ভালো করে ধুয়ে ভিজিয়ে রাখুন আধা ঘন্টা মত। একটি বাটিতে পরিমাণমত মতো দই নিন, দইটা মিষ্টিও হতে পারে, আবার টকও হতে পারে। নির্ভর করে আপনার পছন্দের উপর। এবার খাঁটি দই, লাল চিড়া, কলা, লাল চিনি, লবণ ও লেবুর রস একসঙ্গে নিয়ে মেখে নিন। তৈরি হয়ে গেল মজাদার দই চিড়া! এখন ঝটপট সেরে ফেলুন যেকোন নাস্তা!    দুধ-সুজি   উপকরণ :   বার্লি বা সুজি – ১০০-১৫০গ্রাম লাল চিনি – ১০০গ্রাম খাঁটি গরুর দুধ – ৫০০-৬৫০গ্রাম এলাচ – ২/৩টি দারুচিনি- ২/৩টুকরা তেজপাতা – ১/২টি খাঁটি গাওয়া ঘি – ১ টেবিল চামচ বাদাম – কয়েকটা (পছন্দ অনুযায়ী) কিসমিস – পছন্দ অনুযায়ী  প্রস্তুতপ্রণালী : প্রথমে, ১০০-১৫০গ্রাম সুজিকে ১ টেবিল চামচ ঘিয়ের মধ্যে হাল্কা করে ভেজে নিন। এরপর, হাঁড়িতে আধা লিটারের বেশি পরিমান দুধে ২/৩টি এলাচ, ২/৩ টুকরো দারুচিনি আর ১/২টি তাজ পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। দুধ ফুটে উঠলে ১০০গ্রাম চিনি দিন। চিনি দ্রুত গলানোর জন্য দুধ অনবরত নাড়ুন। চিনি গলে গেলে একটু করে সুজি দিন এবং ভালো করে মেশান। সুজি দেয়ার সময় এবং পরে অনবরত নাড়ুন এতে সুজি জমাট বেঁধে যাবেনা। এভাবে ৫/৭ মিনিট ধরে অল্প আঁচে সুজি রান্না করুন। সুজি যেন একদম শক্ত কিংবা পাতলা না হয়ে যায়। চুলা থেকে নামিয়ে সুজি প্রথমে কক্ষ তাপমাত্রায় আনুন এবং পরে রেফ্রিজারেটরে রেখে ঠাণ্ডা করুন। ঠাণ্ডা সুজি কিসমিস, বাদাম কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন। এই সুজি এমনি কিংবা রুটি-পরোটা দিয়েও খাওয়া যায়। উল্লিখিত দুইটা গরমের খাবার এর রেসিপি ছাড়াও বকর ভাই মমিন সাহেবকে নিয়মিত ফলের জুস খেতে বলেছেন কারণ গরমের দিনে বিভিন্ন ফলের জুস আমাদের পুষ্টি ঘাটতি অনেকখানি দূর করে থাকে।
 গরমে যে যে খাবার খাওয়া উচিত 

আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা গরমের খাবার সম্পর্কে সচেতন নন। তেমনই একজন হচ্ছেন মমিন সাহেব। চলুন আজ আমরা মমিন সাহেব ও তার প্রতিবেশী বকর ভাইয়ের কিছু কথোপকথন দেখি-



“বকর ভাই, এই পেটের যন্ত্রণায় তো আর পারা গেলো না” ব্যথায় কঁকিয়ে উঠে বললেন মমিন সাহেব।


– কেন কি হল আবার?
– আর বলবেন না ভাই, এই গরমকাল এলেই যেন কি হয়। পুরা সিজনটা পেট খারাপ থাকে! একটূ কিছু খাওয়া যায় না শান্তিমত!
– বুঝতে পেরেছি, আপনার পাকস্থলী দুর্বল, ভারী খাবার সহ্য করতে পারেনা!
– হয়ত! কি করব বলেন দেখি বকর ভাই!
– আপনার খাওয়া দাওয়ার অভ্যাসটা ঠিক করতে হবে। গরমে কিছু খাবার আছে যা খেলেই পেট, শরীর দুটোই ঠান্ডা থাকে!


– কি কি খাবার ভাই? একটু বলেন আমাকে!
সহকর্মী মমিন সাহেবের জিজ্ঞাসায় দুটো গরমের খাবার এর রেসিপি দিলেন বকর সাহেব। কি সেই দুটো রেসিপি যা খেলেই গরমে সুস্থ থাকা যায়? পড়ে নিন-


গরমের খাবার

 দই চিড়া 


এই গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে একটু প্রশান্তি পাওয়ার জন্য গরমের খাবার হিসেবে দই চিড়ার কোন জুড়ি নেই। এছাড়া বিভিন্ন ধরণের পেটের পীড়ার জন্যও স্বস্তিদায়ক খাবার দই চিড়া। রেসিপির ভিন্নতায় সামান্য দই চিড়াও দিতে পারে পারে অসামান্য স্বাদ, গরমে দিতে পারে স্বস্তি। কিন্তু কিভাবে এই দই-চিড়া বানাতে পারবেন? বানানোর প্রক্রিয়া বা রেসিপিটা একদম সহজ। বাসাতেই যেকোন সময়ে নাস্তা হিসেবে বানাতে পারেন এই দই চিড়া। জেনে নিন এই দই চিড়া বানানোর প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো।


উপকরণ :


টক বা মিষ্টি দইঃ ২ কাপ (পছন্দমত)
লাল চিড়াঃ ১ কাপ
কলাঃ ২টি
লাল চিনিঃ ১ টেবিল চামচ
লেবুর রসঃ ১ টেবিল চামচ
লবণঃ পরিমাণমতো

প্রস্তুত প্রণালী :



লাল চিড়া ভালো করে ধুয়ে ভিজিয়ে রাখুন আধা ঘন্টা মত। একটি বাটিতে পরিমাণমত মতো দই নিন, দইটা মিষ্টিও হতে পারে, আবার টকও হতে পারে। নির্ভর করে আপনার পছন্দের উপর। এবার খাঁটি দই, লাল চিড়া, কলা, লাল চিনি, লবণ ও লেবুর রস একসঙ্গে নিয়ে মেখে নিন। তৈরি হয়ে গেল মজাদার দই চিড়া! এখন ঝটপট সেরে ফেলুন যেকোন নাস্তা!



দুধ-সুজি



উপকরণ :


বার্লি বা সুজি – ১০০-১৫০গ্রাম
লাল চিনি – ১০০গ্রাম
খাঁটি গরুর দুধ – ৫০০-৬৫০গ্রাম
এলাচ – ২/৩টি
দারুচিনি- ২/৩টুকরা
তেজপাতা – ১/২টি
খাঁটি গাওয়া ঘি – ১ টেবিল চামচ
বাদাম – কয়েকটা (পছন্দ অনুযায়ী)
কিসমিস – পছন্দ অনুযায়ী

প্রস্তুতপ্রণালী :


প্রথমে, ১০০-১৫০গ্রাম সুজিকে ১ টেবিল চামচ ঘিয়ের মধ্যে হাল্কা করে ভেজে নিন।
এরপর, হাঁড়িতে আধা লিটারের বেশি পরিমান দুধে ২/৩টি এলাচ, ২/৩ টুকরো দারুচিনি আর ১/২টি তাজ পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। দুধ ফুটে উঠলে ১০০গ্রাম চিনি দিন। চিনি দ্রুত গলানোর জন্য দুধ অনবরত নাড়ুন। চিনি গলে গেলে একটু করে সুজি দিন এবং ভালো করে মেশান। সুজি দেয়ার সময় এবং পরে অনবরত নাড়ুন এতে সুজি জমাট বেঁধে যাবেনা। এভাবে ৫/৭ মিনিট ধরে অল্প আঁচে সুজি রান্না করুন। সুজি যেন একদম শক্ত কিংবা পাতলা না হয়ে যায়।
চুলা থেকে নামিয়ে সুজি প্রথমে কক্ষ তাপমাত্রায় আনুন এবং পরে রেফ্রিজারেটরে রেখে ঠাণ্ডা করুন। ঠাণ্ডা সুজি কিসমিস, বাদাম কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন। এই সুজি এমনি কিংবা রুটি-পরোটা দিয়েও খাওয়া যায়।


উল্লিখিত দুইটা গরমের খাবার এর রেসিপি ছাড়াও বকর ভাই মমিন সাহেবকে নিয়মিত ফলের জুস খেতে বলেছেন কারণ গরমের দিনে বিভিন্ন ফলের জুস আমাদের পুষ্টি ঘাটতি অনেকখানি দূর করে থাকে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.