স্বপ্নদোষ না হওয়া কি কোনও রোগের লক্ষণ! || Not having nightmares is a sign of a disease?
স্বপ্নদোষ হলো একজন পুরুষের ঘুমের মধ্যে বীর্যপাতের অভিজ্ঞতা। এটাকে ‘ভেজাস্বপ্ন’ও বলা হয়। সাধারণত ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলেদের এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার প্রাথমিক বছরগুলোতে স্বপ্নদোষ খুব সাধারণ।
Photo: unsplash.com |
তবে বয়ঃসন্ধিকালের পরে যেকোনো সময় স্বপ্নদোষ হতে পারে। এটার সাথে যৌন উত্তেজক স্বপ্নের সম্পর্ক থাকতে পারে, আবার নাও পারে। আবার পুরুষদের উত্থান ছাড়াই স্বপ্নদোষ ঘটতে পারে। ঘুম থেকে জাগার সময় কিংবা সাধারণ ঘুমের মধ্যে যে স্বপ্নদোষ হয়,তাকে কখনো কখনো‘সেক্স ড্রিম’ বলে।
মহিলাদের ঘুমের মধ্যে চরম পুলক লাভের অভিজ্ঞতা ঘটতে পারে। স্বাভাবিকভাবে স্বপ্নদোষের পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন হয়। কিছু পুরুষের টিনএজারদের মতো বেশিসংখ্যক স্বপ্নদোষ হয়, আবার অনেক পুরুষের একবারও হয় না। যুক্তরাষ্ট্রের ৮৩ শতাংশ পুরুষের জীবনে কখনো না কখনো স্বপ্নদোষের অভিজ্ঞতা ঘটে।
পশ্চিমা দেশগুলোর বাইরের দেশগুলোতে ৯৮ শতাংশ পুরুষের স্বপ্নদোষের অভিজ্ঞতা ঘটে। অবিবাহিতদের ক্ষেত্রে, ১৫ বছর বয়সী ছেলেদের সপ্তাহে ০.৩৬ বার থেকে শুরু করে ৪০ বছর বয়সী পুরুষদের সপ্তাহে ০.১৮ বার স্বপ্নদোষ হয়। বিবাহিত পুরুষদের ক্ষেত্রে এই মাত্রা ১৯ বছর বয়সী ছেলেদের সপ্তাহে ০.২৩ বার থেকে ৫০ বছর বয়সী পুরুষদের সপ্তাহে ০.১৫ বার হয়।
সাধারণত মাসে ৩-৪ বার স্বপ্নদোষ হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে কারও যদি একেবারেই স্বপ্নদোষ না হয় তবে তার শারীরিক কোনো সমস্যা আছে বলে ধরে নেয়া যেতে পারে। কেননা এটি একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যা প্রতিটি সুস্থ মানুষের হ্ওয়াটা বাঞ্ছনীয়। তাই এমতাবস্থায় কারও স্বপ্নদোষ না হওয়াকে রোগ বলে অভিহিত করে শীঘ্রই ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
1 টি মন্তব্য
onek kichu shikhte parlam....thanks
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন