হাঁপানি সারাতে আদার ব্যবহার
হাঁপানি বা অ্যাজমা একটি ফুসফুসজনিত রোগ। এর ফলে শ্বাসকষ্ট হয়। হাঁপানি অনেক সময় তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। ফুসফুসে বায়ু প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হলেই হাঁপানির আক্রমণ ঘটতে পারে। অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট এমন একটা রোগ যার নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। এটা সাধারণত এলার্জি, বায়ু দূষণ, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, আবেগ, আবহাওয়া, খাদ্য ও নির্দিষ্ট ওষুধের কারণেও হতে পারে। এখন প্রকৃতিতে যেহেতু ধুলাবালির পরিমাণ বেশি তাই হাঁপানি রোগীদের একটু সাবধানে থাকতে হবে। কারণ হাঁপানি রোগীদের জন্য ধুলোবালি অত্যন্ত ক্ষতিকর। অ্যাজমা বা হাঁপানির অনেক চিকিৎসা রয়েছে। তবে এখন আপনি চাইলে খুব সহজে ওষুধ ছাড়াই প্রাকৃতিক উপায়ে পরিত্রাণ পেতে পারেন হাঁপানির হাত থেকে। তাহলে জেনে নিন হাঁপানি প্রতিরোধের প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে।
photos:unsplash.com
হাঁপানির উপসর্গ রোধে আদা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। আদার মধ্যে যে প্রাকৃতিক উপাদান ব্রনকাডিয়েটিং রয়েছে হাঁপানি রোগীদের স্বাভাবিক শ্বাস নিতে তা সাহায্য করে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের এক সমীক্ষায় এমনটাই প্রকাশ করা হয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়, ব্রনকাডিয়েটিং মেডিটেশনের বিটা অ্যাগোনিস্ট একটি সাধারণ হাঁপানির ওষুধ, যা ধীরে ধীরে শরীরে কাজ করে এয়ারওয়ে স্মুথ মাসল (এএসএম) টিস্যুকে স্বাভাবিক রেখে শ্বাস নিতে দেহকে সাহায্য করে। শ্বাসনালীর মাধ্যমে ফুসফুসের ভেতর বাতাস প্রবাহিত হয়। আর শ্বাসনালীতে বাতাস প্রবাহে বাধা পেলে হাঁপানি রোগের সৃষ্টি হয়। আদার মধ্যে যে প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে তা হাঁপানি রোগীদের ওষুধ হিসেবে কার্যকর ভূমিকা রাখে। একজন শ্বাসকষ্টের রোগী আদা খেয়ে কীভাবে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারে এই গবেষণায় সেটাই দেখা হয়েছে।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের পরিচালক ও প্রধান গবেষক এলিজাভেদ টাউনসেন্ড বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হাঁপানি রোগ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু হাঁপানির কারণ উদ্ভাবন সত্ত্বেও কেন এ রোগের ব্যাপক বিকাশ ঘটছে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তাই ৪০ বছর ধরে হাঁপানি রোগ নিয়ে ব্যাপক গবেষণা হচ্ছে এবং হাঁপানির উপসর্গ লক্ষ করে নতুন নতুন চিকিত্সা দেয়া হচ্ছে এতে আক্রান্তদের। এ সময় দেখা যায়, আদা বা আদা দিয়ে তৈরি ওষুধ হাঁপানি রোগীদের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
আদা : আদা হাঁপানিসহ বিভিন্ন রোগের জন্য একটি সুপরিচিত প্রাকৃতিক চিকিৎসা। গবেষকদের মতে, আদা শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে এবং শ্বাসনালী সংকোচন রোধে সাহায্য করে। এক কাপ ফুটন্ত পানির মধ্যে মেথি, আদার রস ও মধু দিয়ে অল্প কিছুক্ষণ জ্বাল দিতে হবে।
সরিষার তেল : যখনই দেখবেন অ্যাজমা বা হাঁপানির আক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে তখনি একটি বাটি মধ্যে একটু কর্পূর এবং সরিষার তেল নিয়ে গরম করুন। এরপর আলতো করে বুকে এবং পিঠে ম্যাসেজ করতে হবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত উপসর্গ প্রশমিত হয় ততোক্ষণ ম্যাসেজ করতে হবে। এর ফলে শ্বাসনালীর প্যাসেজ পরিষ্কার এবং স্বাভাবিক শ্বাস ফিরে পেতে সাহায্য করবে। ঘরোয়া উপায়ে হাঁপানি প্রতিকারের এটি খুবই কার্যকরি পদ্ধতি।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন