পুরুষ লিঙ্গের আকৃতি এবং নারী পুরুষের বিভিন্ন ভুল ধারণা সমুহ এক নজরে জেনে নিন ! মোটিভেশনাল।
(এখানে নারী বলতে নিজের স্ত্রীকে বুঝে নিবেন, স্ত্রী ব্যাতীত পরনারীর সাথে সম্পর্ক করা মহা পাপ এবং পরকালে কঠিন শাস্তি রয়েছে)

Photo: Collected
প্রতিটি পুরুষ চিন্তা করে তার লিঙ্গ নিয়ে এবং দুনিয়াতে ৯৯% পুরুষ তাদের লিঙ্গ নিয়ে অসন্তুষ্ট বাকি ১% আছে যাদের লিঙ্গ থাকা বা না থাকাতে কিছু যায় আসেনা প্রতিটি পুরুষ ভাবে ইশঃ আমার লিঙ্গ যদি আরো বড় হতো আরো মোটা হতো তাহলে কতোইনা ভালো হতো। তাই প্রতিদিন এই চিন্তাটা তার মাথাতে আসবেই।
এবার বলি কেন এমন চিন্তা আসে মাথাতে:
প্রথমত আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাটাই বাধ্য করেছে পুরুষকে লিঙ্গ নিয়ে ভাবতে। কারন সমাজ শিখিয়েছে ইয়া বড় তাগড়া মোটা লিঙ্গ হলে সে অাসল পুরুষ! নারীকে কাবু করতে হলে বড় লিঙ্গ হতেই হবে এমনটাই আমরা শুনছি যুগযুগ ধরে। এমনকি এদেশের অনেক নারীও বিয়ের আগে কল্পনা করে তার স্বামীর লিঙ্গ নিয়ে। রাস্তার ধারে হকার, বিজ্ঞাপন দেওয়া কবিরাজ আমাদের কানে এসব ঢুকিয়ে যাচ্ছে যুগেযুগে।
দ্বিতীয় কারন পর্ণ মুভি! এই স্মার্টফোন আর ইন্টারনেটের যুগে পর্ণগ্রাফি সহজলভ্য একটা জিনিস। পর্ণ মুভিতে আমরা দেখি বড় বড় লিঙ্গওয়ালা পুরুষদের। আর দেখি নারীদের যারা অনায়াসে সেসব বড় লিঙ্গ নিজের মধ্যে নিচ্ছে। ঘন্টা ধরে সেক্স করছে। আসলে পর্ণ মুভিতে যা দেখানো হয় তা সম্পূর্ণ সত্যি নয়। ক্যামেরার এঙ্গেল চেঞ্জ করে করে অনেক কাট ছাঁট করে থেমে থেমে ওসব ভিডিও বানানো হয়। একটু খেয়াল করলেই বিষয়টা বুঝতে পারবেন। তাই পর্ণ মুভির পুরুষদের লিঙ্গের সাথে নিজের লিঙ্গের তুলনা করাটা নিছক বোকামী এবং এতে আপনার মনোবল ভেঙ্গে যাবে।
আরেকটা কথা দুনিয়ার কোন বীর পুরুষই একটানা জাস্ট একটানা ১০ মিনিটের বেশি টিকে থাকতে পারবেনা যদিনা সে থেমে থেমে না করে, এটা মাথায় রাখুন। তাই পর্ণ মুভি দেখা বাদ দিন।
লিঙ্গের সাইজ কেমন হবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে বংশের উপর। আপনার পূর্বপুরুষের উপর। বাপ দাদা পরদাদার উপর। আর আল্লাহ তায়ালা আপনাকে তাই দিয়েছেন যা আপনার জন্যে দরকার। একেক দেশের মানুষের একেক ধরণের লিঙ্গের আকৃতি হয়।
লিঙ্গের সাইজ হয় গড়ে ৫ ইঞ্চি। কারো এর চেয়ে ১ ইঞ্চি কম কারো বেশি। অর্থাৎ একটা রেঞ্জ যদি বলি তাহলে লিঙ্গের সাইজ দাঁড়ায় ৪-৬ ইঞ্চি। এমনকি সাড়ে ৩ ইঞ্চি লিঙ্গও যদি হয় তবুও তা স্বাভাবিক। আর দুনিয়াতে মাত্র ২% মানুষ আছে যাদের লিঙ্গ ৭ ইঞ্চির বেশি হয় এবং এদের মধ্যে আসলে যৌন তৃপ্তি কম। কারন এরা সম্পূর্ণ লিঙ্গ ঢুকিয়ে স্টিমুলেট করতে পারেনা। ফ্রিকুয়েন্সি কম এদের। নারীরা সুখের বদলে ব্যাথা পায় এতে।
আপনি হাতে একটা স্কেল/ টেপ নিয়ে দেখুন ৪ ইঞ্চি কত গভীরে যেতে পারে।
লিঙ্গ উত্তেজিত হলে আয়নার সামনে দাঁড়াবেন বা ছোট অায়না পাশ থেকে ধরবেন, নিচের দিক থেকে ধরবেন তাহলেই বুঝবেন যে আপনার লিঙ্গও অনেক বড় আর মোটা। আমরা উপর থেকে দেখি জন্যে ছোট দেখতে লাগে লিঙ্গ। উপর থেকে সব জিনিসই ছোট দেখায়।
নারীকে তৃপ্তি দিতে ইয়া বড় লিঙ্গের দরকার হয়না। দরকার হয়না অনেক্ষণ সেক্স করার।কারন নারীর মূখ্য যৌন সুখের সেন্সরগুলো তাদের পুরো শরীরে অবস্থিত এবং চুড়ান্ত সুখের সেন্সর যোনীর মাত্র ২.৫ ইঞ্চির মধ্যেই অবস্থিত । নারীকে কখনোই শুধু যোনীতে ঢুকিয়ে কাবু করা যাবেনা বা মন জয় করা যাবেনা। কারন নারীর সেক্স পুরু শরীরে থাকে। এটা নারীরাও জানেনা। স্ত্রীর মন জয় করতে হলে তাকে পর্যাপ্ত আদর করতে হবে। পুরো শরীরে আদর করতে হবে। অাস্তে আস্তে ভালোবাসার কথা বলতে হবে। সে আদরে তৃপ্তি পাচ্ছে কিনা তা জিজ্ঞেস করতে হবে, আপনি তার প্রতি কতোটা নিবেদিত তা জানাতে হবে। একটু nude কথাও বলতে হবে, স্ত্রীর সাথে সব জায়েজ। শুধু আসলেন সুয়ে পড়লেন আর করা শুরু করে দিলেন তাহলে ঐ স্ত্রীকে আপনি কখনোই কমপ্লিট অর্গাজম দিতে পারবেননা। অর্গাজম দিতে হলে একজন যুবতী নারীকে গড়ে ২০ মিনিট আদর করতে হয়। আদর করা মানে তার শরীর নিয়ে ইচ্ছামত খেলা করা। তারপর সে পাগল হয়ে নিজেই চাইবে আপনাকে ভিতরে নিতে, আর তখন যদি আপনি করেন তাহলে খুব কম সময়েই তাকে কমপ্লিট অর্গাজম দিতে পারবেন। আপনি তখন তার চোখে সেরা পুরুষ। আপনার লিঙ্গগের সাইজের দিকে তার খেয়ালই যাবেনা কখনো। সুখের আবেশে সে মুগ্ধ হয়ে থাকবে।
তাই নিজের লিঙ্গ নিয়ে আপসোস করা বাদ দিয়ে লিঙ্গের যত্ন নিন। নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন। হস্তমৈথুন বাদ দিন। লিঙ্গের চামড়া সুস্থ হলে সেটা আপনার স্ত্রীর মনে পজেটিভ প্রভাব ফেলতে বাধ্য। সকল আবেগ ভালোবাসা যোনশক্তি আপনার স্ত্রীর জন্যে সঞ্চয় করে রাখুন।
লিঙ্গকে তার জায়গায় রেখে পরিশ্রম করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করুন। টাকা পয়সাও তো লাগবে জীবনে তাইনা!
সবাই ভালো থাকবেন।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন